০৬:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিশুদের জেনেটিক রোগ থেকে মুক্তি দিতে যুক্তরাজ্যে তিনজনের ডিএনএ ব্যবহার

Reporter Name
  • Update Time : ১১:৩৬:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫
  • / ১৪৮ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

শিশুদের মধ্যে বংশানুক্রমে চলে আসা গুরুতর রোগের প্রতিরোধ করতে এক উদ্ভাবনী পদ্ধতির ব্যবহার করছে যুক্তরাজ্যের বিশেষজ্ঞরা। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে চলে আসা এসব রোগের শৃঙ্খলাকে ভাঙতে, শিশুর জন্মের জন্য তিনজনের জেনেটিক উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে।

ঠিক এই পদ্ধতিতেই সম্প্রতি আটজন শিশুর জন্ম হয়েছে যুক্তরাজ্যে। এদের জন্মের জন্য বাবা-মা ছাড়াও একজন ডোনারের জেনেটিক উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে। চিকিৎসকদের মতে, এই অভিনব পদ্ধতির সাহায্যে গুরুতর এবং প্রায়শই মারাত্মক হয়ে ওঠা রোগগুলো প্রতিরোধ করা সম্ভব।

‘থ্রি পার্সন টেকনিক’ নামের এই উদ্ভাবনী পদ্ধতির বিকাশ করেছেন সে দেশের বিজ্ঞানীরা। এর জন্য, মা ও বাবার ডিম্বাণু ও শুক্রাণু ছাড়াও একজন দাতা নারীর ডিম্বাণু ব্যবহার করা হয়েছে।

গত এক দশক ধরে ওই প্রযুক্তি যুক্তরাজ্যে বৈধ । তবে এই প্রথমবার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে যে এই পদ্ধতি ব্যবহার করে জন্মানো শিশুরা ‘টার্মিনাল মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিজিজ’ থেকে মুক্ত। টার্মিনাল মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিজিজ এক ধরনের গুরুতর জিনগত রোগ, যা সাধারণত মায়ের থেকে শিশুর হয়। এই রোগে কোষের পাওয়ার হাউস হিসাবে পরিচিত মাইটোকন্ড্রিয়ার শক্তি উৎপাদনের ক্ষমতা প্রভাবিত হয়।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

শিশুদের জেনেটিক রোগ থেকে মুক্তি দিতে যুক্তরাজ্যে তিনজনের ডিএনএ ব্যবহার

Update Time : ১১:৩৬:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

শিশুদের মধ্যে বংশানুক্রমে চলে আসা গুরুতর রোগের প্রতিরোধ করতে এক উদ্ভাবনী পদ্ধতির ব্যবহার করছে যুক্তরাজ্যের বিশেষজ্ঞরা। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে চলে আসা এসব রোগের শৃঙ্খলাকে ভাঙতে, শিশুর জন্মের জন্য তিনজনের জেনেটিক উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে।

ঠিক এই পদ্ধতিতেই সম্প্রতি আটজন শিশুর জন্ম হয়েছে যুক্তরাজ্যে। এদের জন্মের জন্য বাবা-মা ছাড়াও একজন ডোনারের জেনেটিক উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে। চিকিৎসকদের মতে, এই অভিনব পদ্ধতির সাহায্যে গুরুতর এবং প্রায়শই মারাত্মক হয়ে ওঠা রোগগুলো প্রতিরোধ করা সম্ভব।

‘থ্রি পার্সন টেকনিক’ নামের এই উদ্ভাবনী পদ্ধতির বিকাশ করেছেন সে দেশের বিজ্ঞানীরা। এর জন্য, মা ও বাবার ডিম্বাণু ও শুক্রাণু ছাড়াও একজন দাতা নারীর ডিম্বাণু ব্যবহার করা হয়েছে।

গত এক দশক ধরে ওই প্রযুক্তি যুক্তরাজ্যে বৈধ । তবে এই প্রথমবার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে যে এই পদ্ধতি ব্যবহার করে জন্মানো শিশুরা ‘টার্মিনাল মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিজিজ’ থেকে মুক্ত। টার্মিনাল মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিজিজ এক ধরনের গুরুতর জিনগত রোগ, যা সাধারণত মায়ের থেকে শিশুর হয়। এই রোগে কোষের পাওয়ার হাউস হিসাবে পরিচিত মাইটোকন্ড্রিয়ার শক্তি উৎপাদনের ক্ষমতা প্রভাবিত হয়।